অনলাইন ডেস্ক :: ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে আইনটির একটি সংশোধনী প্রস্তাব গতকাল অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। আজ মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে এটি কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘মঙ্গলবার এটি অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হবে। অর্থাৎ এদিন থেকেই এটি আইনে পরিণত হবে। এর আগে এটির আইনি যাচাই (ভেটিং) হবে। যেহেতু সংসদ অধিবেশন আপাতত চলমান নেই, তাই সরকার সংশোধিত আইনটি একটি অধ্যাদেশ হিসেবে জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
মন্ত্রী জানান, ‘বিদ্যমান আইনে ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন আছে। সেটিকে এখন মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন করা হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশোধনী প্রস্তাবটি অনুমোদন করা হয়। এর ফলে বিদ্যমান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় সংশোধনী আনা হবে।
‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০’ এর ৯(১) ধারায় বলা হয়েছে, ‘যদি কোনো পুরুষ কোনো নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করেন, তাহা হইলে তিনি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন।’
সম্প্রতি নোয়াখালীতে এক নারীকে নির্যাতনের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এর পর থেকেই একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। এ জন্য আইনের সংশোধন করে সর্ব্বোচ শাস্তির দাবিতে রাজধানীসহ দেশজুড়ে ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনের ঝড় উঠে। মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি চলছে গত সাতদিন ধরে।
এমন পরিস্থিতিতে সরকার আইন পরিবর্তনের এই পদক্ষেপ নিল। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ধর্ষণের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করার দাবি এসেছে, তাই সরকার তা বিবেচনায় নিয়েছে। –বিডি-জার্নাল
পাঠকের মতামত: